COVID19
তিন মাস পরের ঘটনা, লকডাউনের আজ বিরানব্বই দিন হলো। বিগত বাইশ দিন ফ্ল্যাটের বাইরে পা রাখিনি। গতকাল থেকে পেটে কিছু পড়েনি। শুধু বাচ্চাটার জন্য একটু ভাত বাঁচিয়ে রেখেছিলাম, নুন দিয়ে মেখে ওর মা খাইয়ে দিয়েছে। জানালা দিয়ে তাকালে বাইরে শ্মশান ঘাট নিস্তব্ধতা। রাস্তায় স্তুপাকৃতি জঞ্জাল। সাফাই করার লোক নেই। সপ্তাহে একদিন আসে। ওদের বস্তিতে অধিকাংশই করোনা আক্রান্ত। শুনছি অনেক জায়গায় রাস্তায় পড়ে আছে মৃতদেহ, শ্মশানে নিয়ে যাবে কে । সরকারি গাড়ি মাঝে মাঝে এসে তুলে নিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে আসছে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে পিলপিল করছে রুগী। টিভিতে আজকাল মাঝেমধ্যেই পুরোনো খবর দেখায়। সাংবাদিক খুব একটা বেচে নেই। খবর দেবে কে? আমাদের সোসাইটির ছত্রিশটা পরিবারের মধ্যে আমাদের নিয়ে বারোটি পরিবার এখনো টিকে আছি। বাকিরা সরকারি হাসপাতালে বন্দী, অথবা কবরস্থানে, শ্মশানে ছাই হয়ে উড়ে গেছে। সারাদিনে দু'ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। পাম্প চালানোর সিকিউরিটি নেই। নিজেদেরই গিয়ে চালাতে হচ্ছে। বস্তিগুলো খাঁ খাঁ করছে। ওরাই প্রথমদিকে সবচেয়ে বেশি রাস্তায় বেরোত। ওখান থেকেই করোনার আউটব্রেক শুরু হয়। তারপর যা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও বহুগুণ বেশ...